পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন পালন করছেন প্রেমিকা। মুঠোফোনে পরিচয় অত:পর ২ বছর প্রেমের সম্পর্ক ও মন দেয়া নেয়া চলে তারা দুইজনের মধ্যে। সম্প্রতি ছলনার পথ খুঁজতে থাকে প্রেমিক। প্রেমিক ২ জনের সম্পর্ককে অস্বীকার করার কৌশল চলছিল। এমনকি প্রেমিককে উপেক্ষা করে বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন। বিয়ের জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিলেন প্রেমিক। বিষয়টি জানাজানি হয়। গত ১৮ নভেম্বর প্রেমিক প্রেমিকা গোপনে বিয়ে করতে দুলাহাজার দিকে পালিয়ে যেতে সিদ্ধান্ত হয়। ওই এলাকায় প্রেমিকের ফুফির বাড়ি। সেখানে বিয়ের কথা বলে প্রেমিক সাগরুল ইসলাম খোকা প্রেমিকা সুমি আক্তারকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। এ সময় রাত ৯ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিন বটতলীয়াপাড়া শানুর বাপের বাড়ির পুকুর পাড়ে অবস্থান নেয়। খোকা গাড়ি ভাড়ার টাকা বাড়ি থেকে আনার কথা বলে চম্পট দেয়। এ সময় ২ ঘন্টা সেখানে অবস্থান করে। অত:পর ওই দিন রাত ১১ টার দিকে সুমি ছেলের বাড়িতে অবস্থান নেয়। এ সময় বিয়ের দাবীতে অনশন করতে থাকে ওই ছাত্রী। খবর পেয়ে ইউপি সদস্য নুরুল হক সাদ্দাম, সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি শামশুল আলম, সাধারন সম্পাদক নুরুল হোসাইনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা ওই বাড়িতে ছুটে যান। এ সময় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। তারা দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের সত্যতা পান। এ সময় মেয়ে ও ছেলের জিম্মা নেন দু’পক্ষ। মেয়ের জিম্মা নেন সমাজ কমিটি। অপরদিকে ছেলের জিম্মা নেন ইউপি সদস্য। বিষয়টি নিয়ে রবিবার সকালে ইউপি সদস্যের বাড়িতে বৈঠক হয়েছে দু’পক্ষকে নিয়ে। বিষয়টি এখনও নিস্পত্তি হয়নি। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে ফের বৈঠক হওয়ার দিনক্ষন রয়েছে। সুত্র জানায়, পেকুয়া জিএমসির এস,এস,সি পরীক্ষার্থী সুমি আক্তার ও সাগরুল ইসলাম খোকার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। খোকা পেশায় মুদির দোকানদার। তার বাড়ি দক্ষিণ বটতলীয়াপাড়ায়। ওই এলাকার আবু তাহেরের ছেলে। অপরদিকে সুমি একই এলাকার নুরুল আবছারের মেয়ে। ২০১৮ সালে জিএমসির বাণিজ্য বিভাগ থেকে এস,এস,সি পরীক্ষা দেবে। এ ব্যাপারে সুমি আক্তার জানায়, সাগরের সাথে গত ২ বছর ধরে সম্পর্ক করছি। স্বামী স্ত্রীর মত সম্পর্ক আমাদের। ওই দিন বিয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। আমি বিয়ের দাবীতে অনশন করছি। হয় বিয়ে না হয় আত্মহত্যা এ দুটি পথ আছে আমার। সাগরুল ইসলাম খোকা জানায়, ওই মেয়ের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। মাঝে মধ্যে কথা হত। এখন আমাকে ফাঁসাতে অপবাদ তৈরী করছে। বটতলীয়া পাড়া সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি শামশুল আলম ও সাধারন সম্পাদক নুরুল হোসাইন জানায়, সম্পর্কের বিষয়ে সত্যতা মিলেছে। আমরা খবর পেয়ে খোকার বাড়িতে যায়। বিষয়টি নিস্পত্তির চেষ্টা চলছে। ইউপি সদস্য নুরুল হক সাদ্দাম জানায়, ছেলে আমার জিম্মায় রয়েছে। মেয়েকে সমাজ কমিটির নিকট দেওয়া হয়েছে। দু’দফা বৈঠক হয়েছে। নিস্পত্তি হয়নি।
###########
পেকুয়ায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হল নিহত মানিকের মরদেহ
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় গ্রামের নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে নিহত মানিকের মরদেহ। লাশ উদ্ধারের ২৫ দিন পর অবশেষে নিহত মানিকের লাশ নিয়ে আসা হয় গ্রামের বাড়িতে। লাশ উদ্ধার হওয়ার পর সুরত হাল রিপোর্ট শেষে কক্সবাজার সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করে। বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে স্থানান্তরিত করা হয়। তারা লাশটি মাটি চাপা দেয়। লাশ উদ্ধারের তিন দিন পর লাশটি সনাক্ত হয়েছে। এ সময় উজানটিয়া ইউনিয়নের সুতাচুরা ঠান্ডারপাড়া এলাকার মোক্তার আহমদের স্ত্রী জিগারা বেগম থানায় উপস্থিত হন। এ সময় উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমপাহাড়িয়াখালী জড়পাথর নামক বিল থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি তার ছেলে মানিকের বলে পুলিশকে নিশ্চিত করেছে। ২ দিন পর লাশের ডিএনএ টেস্ট ও আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম কর্তৃক মাটি চাপা দেওয়া লাশ কবর থেকে উত্তোলন পূর্বক পরিবারের নিকট হস্তান্তর করতে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আবেদন করে। নিহত মানিকের বড় ভাই হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে এ আবেদন করেন। এমনকি তারা হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত আসামীদের মামলায় অন্তর্ভূক্ত করতে আদালতে সম্পুরক এজাহার দায়ের করে। আদালত বাদীর আনিত বিষয় গ্রহন করেছেন। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে আইনী সহায়তা দিতে পুলিশকে আদেশ দিয়েছে। অবশেষে লাশ উদ্ধারের ২৫ দিন পর গতকাল রবিবার মানিকের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ওই দিন বিকাল ৪ টায় লাশ গ্রামে পৌছায়। বিকেল ৫ টার দিকে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থান সোনালী বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন স্থানে দাফন করা হয়। এ ব্যাপারে নিহত মানিকের ভাই মামলার বাদী উপজেলা সৈনিক লীগের প্রচার সম্পাদক হারুনুর রশিদ জানায়, ঘাতকরা আমার নিষ্পাপ ভাই মানিককে নির্মম ও নিষ্টুরভাবে খুন করেছে। তারা আমার এক ভাইকে মিথ্যা মামলায় দু’বছর ধরে কারাগারে পৌছায়। এরপর আমার ভাই মানিককে খুন করেছে। আমার পরিবার খুনীদের কাছে অনিরাপদ। খুনীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি। তারা ঘোরাফেরা করছে। পুলিশ আসামীদের না ধরছে। আমরা আইনী সহায়তা পাচ্ছি না। খুনীরা অধরা রয়ে গেছে। তারা আরো বেপরোয়া হচ্ছে।
###########
পেকুয়ায় বৃদ্ধের বসতভিটা উচ্ছেদের পায়তারা
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের সিকদারঘোনা এলাকায় প্রায় ১০০ বছরের দখলীয় পৈত্রিক বসতভিটা থেকে বৃদ্ধকে উচ্ছেদের পায়তারা চলছে। জানা যায়, ওই এলাকার মৃত মোহাম্মদ সেকান্দরের পুত্র ছৈয়দ আহমদ বিএস দাগ নং ৯৮৫৫ এর ৩০ শতক জায়গার উপর ওই বসতভিটার নির্মাণ করে বসবাস করে আসতেছে। ওই জায়গা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস থেকে স্মারক নং-রাজস্ব-বি-২, শা-২, এম-৬১-২০০৫-৬৪-(৩২)-১৬-০৬-১০ ইং লীজ ও নেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় তার সহোদর ছৈয়দ নুর গোপনে পাউবো থেকে লিজ নেয়। খবর পেয়ে ছৈয়দ আহমদ পাউবোতে যোগাযোগ করে। উক্ত ছৈয়দ নুর আনসার ভিডিপির সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে। অথচ মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তার বয়স ছিল ৭-৮ বছর। আনসার কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বলে তার ভাই ছৈয়দ আহমদকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করতেছে। এব্যাপারে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল হোসাইন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তা একজনের ভোগদখলীয় জায়গা অন্যজনকে লিজ দিয়ে এলাকার আইন শৃংখলার অবনতি ঘটায়। বিরোধীয় জায়গায় ছৈয়দ আহমদ ও ছৈয়দ নুর পিতার বসতবাড়িতে দুই ভাই একত্রে বসবাস করিয়া আসতেছে। কে আগে লিজ নিয়েছে সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
পাঠকের মতামত: